ঝিনাইদহে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে ক্লিনিক ব্যবসা


ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সিমান্ত সাধুহাটি ডাকবাংলা ও বৈডাঙ্গা এলাকার অধিকাংশ ক্লিনিকে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবার অভিযোগ উঠেছে।
এসব ক্লিনিক গুলোতে ছোট খাটো ও মেজর অপরেশনও করা হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে। নেই কোন প্রশিক্ষিত নার্স।
অপারেশনের জন্য রোগী এলে আশপাশের হাসপাতাল থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রায়ই রোগীর মৃত্যুসহ বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে আল জিজিয়া (প্রাঃ) হাসপাতাল এন্ড ডায়াগোনস্টিক সেন্টার ও ডাকবাংলা নাসিং হোমে দেখা যায়, কোন এমবিবিএস ডাক্তার নাই, এমনকি কোন প্রশিক্ষিত নার্স, ডিপ্লোমা টেকনোলজিস্ট কিছুই নাই।
একজন হাতুড়ে ডাক্তার দিয়েই চলে সার্বক্ষনিক সেবা। অপারেশনের সময় কোন অজ্ঞান করার ডাক্তার রাখা হয় না। সার্জিক্যাল ডাক্তার দিয়েই এই কাজ চালানো হয়। এসব কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা।
গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের জিম্মি করে উন্নত সেবা দেওয়ার নামে এসব ক্লিনিকগুলো দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ব্যবসা।
আলজিজিয়া (প্রাঃ) হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী আঃ মান্নান ছিলেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার। অবসর গ্রহনের পর থেকে তিনি এই ক্লিনিকের ডাক্তার হিসেবে নিয়মিত সেবা দিয়ে আসছেন। তার ক্লিনিকের সাইনবোর্ডে ও ফাইলে ডাঃ মোঃ আব্দুল মান্নান লিখা আছে, কিন্তুু তার রোগী দেখার প্যাডে মোঃ আবাদুল মান্নান লেখা।
এছাড়া কোন ডাক্তার আছে বলে জানা যায়নি। ডাকবাংলা নাসিং হোমের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জামান কাজল। ডাক্তার হিসেবে আছেন এস আই রেজা কিন্তু তার কোন ডাক্তারি সনদপত্র নাই। ভূয়া ডাক্তার হয়েও দিনের পর দিন এই ক্লিনিকে ডাক্তার হিসেবে সেবা প্রদান করে আসছে।
ডাক্তারি প্যাডে ডাঃ এস আই রেজা, ডিপিএমসি (ঢাকা) পিএমসিএইচএফপি, নবজাতক শিশু ও কিশোর রোগে বিশেষ অভিজ্ঞ, সহকারী চিকিৎসক (মা ও শিশু স্বাস্থ্য), মা ও শিশু (প্রাঃ) হসপিটাল(ঢাকা) লেখা আছে। তার একটি প্রচারপত্রে শিশুদের ২৪টি রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা লেখা আছে।
এ বিষয়ে ডাকবাংলা নাসিং হোমের মালিক কাজল বলেন এসআই রেজা নামে আমার কোন ডাক্তার নেই। সার্বক্ষনিক কোন এমবিবিএস ডাক্তার নেই তবে ডিপ্লোমা নার্স ও পার্টটাইম টেকনিশিয়ান আছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান এমবিবিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না। যদি কেউ লিখে থাকে সে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে, আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।