মির্জাপুরের বংকরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
১৭২ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক মাত্র ১ জন


শিক্ষার্থী ১৭২ জন আর শিক্ষক মাত্র ১ জন। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের এই অনুপাত দেখা গেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নের বংকরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় । পরবর্তীতে এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরন করা হয়। এর আগে ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ঠ এক তলা ভবন নির্মিত হয়। এই উপজেলার পাহাড়ী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির আশেপাশে ২/৩ টি গ্রামের কোমলমতি শিশু কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগনিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭২ জন।
এছাড়া ওই বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক হলেন ৫ জন। এরমধ্যে ৩ জন শিক্ষক তিনমাস আগে ১ বছরের জন্য প্রাথমিক শিক্ষণ প্রশিক্ষণে গিয়েছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক সানোয়ার হোসেন সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হয়েছেন। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে একমাত্র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন সহকারি শিক্ষক আনোয়ারা বেগম।
এব্যাপারে আনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি যেন কি পাপ করেছিলাম। তানাহলে এ অবস্থায় আমাকে কেন পড়তে হল? বর্তমানে যেন আমার মাথায় এখন বাজ পড়েছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এই শিক্ষক স্বলপতার কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া মারাতœকভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বংকরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলির বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ওই প্রধান শিক্ষকের বদলির ছাড়পত্র দেয়া হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।