সিজারকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন


রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুবাশ্বার হাসান সিজারকে দ্রুত খুঁজে বের করতে প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ চেয়েছেন স্বজন, ঘনিষ্ঠ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘শিক্ষক, বন্ধু ও স্বজন’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নেন সিজার। দেশে ফিরে তিনি অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হন সিজার। পরে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নেন তিনি। বিকেল থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই তাঁর কোনো খোঁজ মিলছে না। এ বিষয়ে রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিজারের বাবা মোতাহের হোসেন।
নিখোঁজের ষষ্ঠ দিনে ঢাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন সিজারের স্বজন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মফিজুর রহমান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সিজারের ছোট বোন তামান্না প্রমুখ।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের স্বাধীন দেশে গত কয়েক মাসে লক্ষ করা যাচ্ছে যে ১০০ ঘণ্টায় একজন করে গুম ও নিখোঁজ হচ্ছে। এটা দেশের জন্য খুবই হতাশাজনক।’
‘সিজার একজন গবেষক। তাঁর গবেষণা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। কিন্তু এমন ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। তাঁকে দ্রুত আমাদের সামনে দেখতে চাই’, যোগ করেন গীতি আরা নাসরিন।
অধ্যাপক মফিজুর রহমান বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে গুম ভয়াবহ ব্যাপার। যে-ই গুম হোক না কেন, তাঁকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
মফিজুর আরো বলেন, রাষ্ট্র প্রয়োজনে যেকোনো নাগরিককে প্রশ্নের সম্মুখীন করতে পারে। তবে সেটি নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে। এ সময় তিনি সিজারকে যেকোনো মূল্যে পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সিজারের ছোট বোন তামান্না তাঁর ভাইকে যেকোনো মূল্যে ফেরত চেয়েছেন। এর জন্য তাঁর পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তামান্না বলেন, ‘আমার ভাইয়ের নামে কেউ মিথ্যা তথ্য ছড়াবেন না। দরকার হলে আমাদের সঙ্গে তাঁর ব্যাপারে কথা বলুন। কোনো তথ্য লাগলে আমরা দেবো।’