চিকিৎসা করতে গিয়ে কলকাতা থেকে লাশ হয়ে ফিরল দুই বাংলাদেশী

মোঃ সাগর হোসেন
প্রকাশিত: ০১:১৭ এএম, রোববার, ১৮ আগস্ট ২০১৯ | ১৯৪
ভারতের কলকাতায় শুক্রবার গভীর রাত্রে দুই বাংলাদেশীর গাড়ী চাপায় মর্মান্তিক মৃত্যু হওয়া লাশ রোববার সকাল ৯ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্টে দিয়ে ফেরত এসেছে বাংলাদেশে।

নিহত দুই বাংলাদেশী হলেন ঝিনাইদাহ জেলার  ভুটিয়ারগাতি গ্রামের খলিলুর রহমানের  ছেলে  কাজি মোহাম্মাদ মঈনুল আলম (৩৬) ও কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার চান্দুর গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)। 

কলকাতার সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায় শুক্রবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শেক্সপিয়র স্মরণি ও লাউডন স্ট্রিটের সংযোগ স্থলে। জাগোয়ার নামের একটি দ্রুত গামি গাড়ি শেক্সপিয়র স্মরনি ধরে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের দিক থেকে কলামন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় প্রচন্ড গতি নিয়ে ধাক্কা দেয় একটি মার্সিডিজকে। এরপর জাগুয়ারটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে  দাঁড়িয়ে থাকা দুই পথচারীকে পিষে দেয়। গুরুতর আহত ওই দুই জনকে কলকাতার এস এস কেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন চিকিৎসকরা। ভারতীয় পুলিশ সুত্র জানায় তারা দুজন গত ১৫ দিন যাবত  কলকাতায়  চিকিৎসা করতে ওই এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন।

নিহতদের পরিবার সুত্রে জানা যায় ফারহানা ইসলাম ঢাকায় সিটি ব্যাংকে ও মঈনুল ইসলাম ঢাকায় গ্রামীন ফোনে চাকুরী করতেন। তারা জানায় গত ১৫ দিন আগে তারা ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্য গিয়েছিল। ভারতে তাদের সাথে যাওয়া কাজি সাফি রহমত উল্লাহ জানান, আমরা তিনজনই দাঁড়িয়ে ছিলাম শেক্সপিয়র স্মরনি রোডে । এমন সময় আকস্মিক জাগুয়ার নামে একটি বাস সজোরে পাশের রাস্তায় উঠে পড়ে ফারহানা ও মঈনুলকে চাপা দেয়। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

নিহত ফারহানার লাশ বেনাপোল চেকপোষ্টে গ্রহন করেন তার চাচাতো ভাই আবু ওবাইদা সাফিন মঈনুল আলমের লাশ গ্রহন করেন তার চাচাতো ভাই জিয়াদ আলী।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ভারত থেকে নিহত দুই বাংলাদেশীর লাশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।