ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় শিশুদের


টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নবগ্রাম ও নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ঝিনাই নদী। নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পেরিয়ে রোজ স্কুল যেতে হয় কোমলমতি শিশুদের।
দু’গ্রামে শত শত শিশু এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে থাকে বলে জানান স্থানীয় এলকাবাসী। নদীর পানি বেড়ে গেলে এ সাঁকোর অনেকটা তলিয়ে যায়, তখন বড়রা হাতল ধরে পারাপার হলেও শিশুরা পড়ে বেকায়দায়। শিশুদের অতিকষ্টের সেতু পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। তাদের সাঁকো পেরিয়ে আবার ডুবে যাওয়া খেতের আইল ধরে পরনের কাপড় ভিজিয়ে কতক্ষণ হেঁটে পাকা সড়কে উঠতে হয় ।
এভাবেই যুগযুগ ধরে গ্রামের শিশুরা নদী পারাপার হয়ে পড়ালেখা করছে। সাঁকো পিছলে অনেকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন বহু মানুষ এ সাঁকো পেরিয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করে। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের সাঁকো পেরুতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রামবাসীর দাবি, একটি সেতু। নির্বাচন এলে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু চার দশকেও কেউ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে এগিয়ে আসেননি।
এ ব্যাপারে গোপালপুর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন জানান, এসব দুর্গম জায়গায় সরকারের সেতু নির্মাণের কথা রয়েছে। এলাকাবাসী যোগাযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।