মির্জাপুরের কলেজ ছাত্রের সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব এসি উদ্ভাবনের দাবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শরীফুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্র দূষণমুক্ত পরিবেশে ঠান্ডা করণ প্রক্রিয়া আবিস্কারের দাবি করেছেন। সে দাবি করেছে তার আবিস্কৃত যন্ত্রটি পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব। তার বাড়ি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামে। তিনি এ বছর টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে গনিত(সম্মান) বিভাগে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন।

এ উপলক্ষে শরীফুল ইসলাম শনিবার দুপুরে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে স্থানীয় সাংসদ ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক তাহরীম হোসেন সীমান্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন , মির্জাপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ ও শরীফুলের সহপাঠিরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শরীফুল ইসলাম জানান, তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রটি পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং সম্পর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত। যা সিএফসি গ্যাস ছাড়াই ঠান্ডা করণ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। তিনি এর নাম দিয়েছেন শরীফ পিউর কুলিং টেকনোলজি বা এসপিসিটি। এ প্রক্রিয়াটি বিদ্যুৎ বা জ্বালানী সাশ্রয়ী।

শরীফুল বলেন, ২০১৬ সালে সে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেরন কেন্দ্রে স্পার্ক বাংলাদেশ আয়োজিত একটি ওয়ার্কশপে যোগ দেন। সেখানে বিজ্ঞানের আবিস্কার বিষয়ক নতুন নতুন আইডিয়া জমাদানের আহবান জানানো হয়। তারপর থেকেই শরীফের মাথায় ঘোরপাক খেতে থাকে নতুন কিছু করার। ২০১৭ সালে শরীফ তার চিন্তার বাস্তবায়ন কল্পে কাজশুরু করেন। ২৫০১৮ সালের মার্চ মাষে দুষণমুক্ত পরিবেশে ঠান্ডাকরন প্রক্রিয়া আবিস্কারের কাজ শেষ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাস ব্যবহার করে শীতাতপ যন্ত্রসহ বিভিন্ন ঠান্ডা করণ যন্ত্র তৈরি করা হয়। যা বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরের ক্ষতি করছে। এতে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ক্যান্সারসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং চোখে অসময়ে ছানি পড়বে। এসব থেকে বাঁচতে তিনি যন্ত্রটি আবিস্কার করেছেন। এছাড়া বর্তমানে ১ টন এসিতে যেখানে প্রায় ২ হাজার ওয়াটের বিদ্যুৎ প্রয়োজন সেখানে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রে প্রায় ৯০ ভাগ জ্বালানী সাশ্রয় করবে। ১২ ভোল্টের ডিসি বিদ্যুৎয়ের মাধ্যমে যন্ত্রটিতে কোন সিএফসি ব্যবহার প্রয়োজন হবেনা। বিষয়টির পুরো প্রক্রিয়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান।

সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন শরীফুলের দেখানো যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের কথা তিনিও দেশের উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরবেন। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করবেন । #