আ’লীগ অফিস তালা রহস্যজনক কারণে দেরীতে সদর উপজেলা আ’লীগের বর্ধিত সভা শুরু

স্টাফ রির্পোটার
প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, শনিবার, ৮ জুন ২০১৯ | ১৬১৬

টাঙ্গাইলে রোববার সকাল ১০ টায় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করে সদর উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগ।

নির্ধারিত সময়ে সভায় অংশ নিতে ৯ টা ৪৫ মিনিট হতে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। এসেই কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখে কার্যালয়ের সামনে দাড়িতে থাকে নেতা কর্মীরা।

সকাল ১১ টায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আসেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাংসদ মো.ছানোয়ার হোসেন। এমপি এসেও বেশ কিছুক্ষণ বাহিরে দাড়িয়ে থেকে জেলা সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সাথে মুঠো ফোনে কথা বলে ১১ টা ১০ মিনিট পর কার্যালয় খুলে দেয়া হয়। খোলার পর শুরু হয় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সকাল ১০ টায় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আমাদের বর্ধিত সভা ছিলো। কার্যালয়ে আসার পর দেখতে পাই দরজা তালাবদ্ধ। কে তালা দিয়েছে? কেন দিয়েছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, সকালে এসেই অফিস তালাবদ্ধ দেখি। সদর উপজেলার সাবেক সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলমকে বর্ধিত সভায় না রাখায় এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তালা খোলার ব্যবস্থা করেন। 

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে বলেন, উনারা আজকের মিটিংটি দলের গঠনতান্ত্রিক ভাবে বিতর্কিত মিটিং। আমি উপজেলার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলার দ্বারা নির্বাচিত সভাপতি। আমাকে দলের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় নাই বা এধরনের কোন নির্দেশনা আমার উপরে নাই। আমি এখনো দলের সভাপতি। উনারা যে মিটিংটি আহবান করেছেন তা গঠণতন্ত্র বিরোধী এবং সেই বিবেচনায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি মহোদয় এই মিটিং না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। উনারা দুইজনেই নিষেধ করেছিলেন এই মিটিং না করার জন্য।

আর অফিসে তালা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মিটিং দেয়া হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে। জেলা আওয়ামী লীগ অফিস আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। জেলা আওয়ামী লীগ অফিস নিয়ন্ত্রিত হয় জেলা আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে। তাই সেখানে তালা দেয়া না দেয়ার বিষয়ে আমার কোন অবস্থান ছিল না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খানসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ সোমবার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।