লৌহজং নদীর ওপরে বৃহত্তর ব্রীজ তৈরি করে

ছানোয়ার হোসেন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে -ফজলুর রহমান খান ফারুক

আলোকিত প্রজন্ম
প্রকাশিত: ০৯:৩২ পিএম, রোববার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১৬০৭

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার পাশাপাশি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার দেশে তৈরি করেছেন মোবাইল ব্যাংকিং চালু ব্যবস্থা। যা অতীতের কোন সরকার এটি করতে পারেনি এবং কল্পনাও করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ই চিকিৎসা সেবার জন্য সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জোরালো হয়েছে এবং এগুলোর মাধ্যমে রোগীরা প্রতিনিয়ত সেবা পাচ্ছে। শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা, গর্ভকালীন ভাতা, মৃত্যু ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা ব্যবস্থা চালু করেছে। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শেখ হাসিনা শুধু দেশে নয় বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্ব বাজারে আজ প্রশংসিত হয়েছে। ফারুক বলেন, বিগত যেকোন সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল প্রকার উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে।

যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের চাকতা যুগনিতে লৌহজং নদীর ওপরে বৃহত্তর ব্রীজ তৈরি করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। তিনি ছানোয়ার হোসেন-এর ভূয়ষি প্রশংসা করেন। তিনি গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের বহুকাক্সিক্ষত এবং ঐতিহাসিক সেতু যুগনি-চাকতা সড়কের লৌহজং নদীর উপর সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান শেষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেন -এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারি অর্থায়নে এ সেতুটি তৈরি করা হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খঃ আশরাফ উজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম এ্যাডভোকেট, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাস আলী ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মারুফ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মীর্জা আনোয়ার হোসেন বাবুল, বাঘিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ, ছাত্রলীগের পক্ষে শাফিউল আলম মুকুল, শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রুনু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য আমিরুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোলায়মান হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেবুন্নেছা মাহমুদা চায়না, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখন, মগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজাহারুল ইসলাম (মুক্তিযোদ্ধা), ঘারিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন খান খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান মন্টুর সভাপতিত্বে জনসমাবেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪শ’ ৭৭টাকা ব্যয়ে বাঘিল ইউপি অফিস-আয়নাপুর সিসি রাস্তা ১কিঃ ২০ মিটার রাস্তাাসহ চেইনেজে ৬৬ মিটার আরসিসি ব্রীজ নির্মাণ কাজের সার্বিক বাস্তবায়নকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। উল্লেখ্য, ৩ থেকে ৪টি ইউনিয়নসহ বাঘিল ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণ ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ সেতু রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে।

বর্তমানে নদীর উপর ১শ’ ৭২ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট পাশ এ সেতুটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং সেখান দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও বহু আকাক্সিক্ষত সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর হচ্ছে জেনে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার ও সকল বয়সের মানুষের মাঝে আনন্দের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। বাঘিল-যুগনিসহ এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। জনসমাবেশে বাঘিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ কয়েক শতাধিক সমর্থক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও এমপি ছানোয়ারের হাতে নৌকা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।