বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সকাল পৌনে সাতটায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ৪ নভেম্বর জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নিকটে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরপর গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার’ অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় মামলা করা হয়।
মামলায় জাকারিয়া দস্তগীর দাবি করেন, আমীর খসরুর উসকানির জেরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তার কথার জেরেই ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়।
গত ২১ অক্টোবর এই মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তখন আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।