মইনুলকে প্রথম শ্রেণির বন্দীর সুবিধা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ এএম, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | ৭০২

রোববার মইনুল হোসেনের স্ত্রীর করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?

এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’

এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্ধশতাধিক সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন। এরপর বিভিন্ন জেলায় মামলা হতে থাকে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এরই মধ্যে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এরপর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুল হোসেন জমিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে কারাগারে সাধারণ বন্দী হিসেবেই ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।