শিউলী হত্যা
রিমান্ডে সোহেল রানা কোন তথ্য দেয়নি
![](https://alokitoprojonmo.com/images/AP_Icon.png)
![](/photos/shares/News_Photo/2018/August /16-08-2018/safe_image_php_jpg.jpg)
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগমের (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় বাস চালকের ছোট ভাই বাসের হেলপার সোহেল রানাকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিনদিনের রিমান্ডে তার কাজ থেকে কোন তথ্য পায়নি পুলিশ।
গত ২৬ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে বাস যোগে পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের শরীফ খানের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে আর্তচিৎকারের কিছুক্ষণ পর দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থান থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।।
ঘটনার ১৫ দিন পর বাসটি আটক এবং মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাস চালক রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখ এবং শিউলীর সহকর্মী আরিফ খানকে গ্রেফতার করে। রনি শেখ ও রানা শেখ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে। আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে।
বাস চালকের ভাষ্য মতে ঘটনার মুল নায়ক শিউলীর সহকর্মী আরিফ খানকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে বাসের হেলপার সোহেল রানাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। সোহেল রানার এলোমেলো কথার কারনে মামলার অগ্রগতি হবে এমন কোন তথ্য সে দেয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন মামলার আসামী সোহেল রানা তিনদিনের রিমান্ডে কোন তথ্য দেয়নি যা, মামলার অগ্রগতিতে কাজ করবে।