‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও ৮ ‘মাদক ব্যবসায়ীর’ মৃত্যু
সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে জেলায় জেলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। র্যাব ও পুলিশ এসব ঘটনাকে বর্ণনা করে আসছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হিসেবে।
রবিবার (২০ মে) রাত থেকে সোমবার (২১ মে) সকালে মধ্যে ছয় জেলায় আটজন সেই কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এসব অভিযানে বিভিন্ন পরিমাণে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের কথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের দাবি নিহতরা সবাই মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলাও রয়েছে।
এর মধ্যে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, ঝিনাইদহ ও নরসিংদীতে র্যাবের গুলিতে চারজন এবং চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আর যশোরে তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বলেছে, মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিটি ঘটনায় আইনশঙ্খলা বাহিনী যে বিবরণ দেয়, তা মোটামুটি একই রকম। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ধরনের ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
দেশ থেকে মাদক নির্মূলের প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, জঙ্গি দমনের মত মাদক ব্যবসায়ী দমনে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই দায়িত্ব মূলত দেওয়া হয়েছে র্যাবকে।
গত ১৪ মে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর তারা মাঠে নেমেছেন। মাদকের বিরদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।
র্যাবের সংবাদ সম্মেলনের আগে ৩০ এপ্রিল কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মাদকের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’।
আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও গোয়েন্দা পুলিশ, রেল পুলিশ, থানা পুলিশ এবং বিজিবিকেও মাদকবিরোধী অভিযানে দেখা যাচ্ছে।
কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাদক চক্রের সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এ ধরনের ঘটনায় ছয় জেলায় ছয়জন নিহত হন, যাদের চারজনই মাদক কেনা-বেচায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।