২৬৩ বস্তা সারসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ১৬০

তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে সার মজুত করে রাখার ঘটনায় জব্দ করা হয়েছে ২৬৩ বস্তা সার ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপির সরকারপাড়া গ্রামের এক বাড়ি থেকে মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের রাখা সারের বস্তাগুলো জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা।

এ ঘটনায় বিসিআইসির ডিলার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামান রাজুকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারি মোস্তফা জামান রাজু বাজারের সারের দাম বৃদ্ধির লক্ষে অবৈধভাবে দুটি স্থানে ২৬৩ বস্তা ডিএপি সার মজুদ করে রেখেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বুড়াবুড়ি সরকারপাড়ার এলাকার ফয়জুল হকের বাড়ি থেকে ১৭৩টি বস্তা ও মোস্তফা জামান রাজুর চা বাগানের একটি ঘর থেকে মজুদ রাখা ৯০ সার বস্তা উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করা হয়। 

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেনসহ সঙ্গীয় পুলিশ ও সাংবাদিকবৃন্দ। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, দাম বৃদ্ধির লক্ষে এভাবে সার মজুদ রেখে কৃষকদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেয়া হয়। খুব ভালো হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। 

সারের ডিলার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামান রাজু বলেন, আমি সারের ডিলার। আমি তো চুরি ডাকাতি করিনি। গতকালও ইউরিয়া সারের জন্য টাকা পেমেন্ট করলাম। বুড়াবুড়ি বাজারে গোডাউন না পাওয়ায় এখানে রাখতে হয়েছে। এসব বিষয়ে কোন আইন জানা না থাকায়  এভাবে রেখেছিলাম। তাই আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সারগুলো পূর্বের দামে বিক্রি করে দেয়ার অনুরোধ জানালেও কাজ হয়নি। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, সার জব্দের ঘটনায় বিসিআইসির ডিলার মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মোস্তফা জামান রাজুকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলমান।  

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, মেসার্স রুম্পা ট্রেডার্সের মালিক ও ডিলার মোস্তফা জামান রাজু তার গোডাউনে সার না রেখে বাজারে কৃত্রিম সার সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির লক্ষে অবৈধভাবে ২৬৩ সার মজুত করে রাখার এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আমরা প্রথমে একটি বাড়ি থেকে ১৭৩ বস্তা ও অন্য একটি স্থান থেকে ৯০ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করে জব্দ করি।

এ ঘটনায় বিসিআইসির ডিলারের  বিরুদ্ধে মামলা প্রস্তুতি চলছে। তাকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আর সারের কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।