ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২ মদ সরবরাহকারী গ্রেপ্তার, স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কোমল পানীয়র সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ২ মদ সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার গভির রাতে আজগানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গেপ্তার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের আমজাত শিকদারের ছেলে রাব্বি (১৯ ) এবং চিতেশ্বরী ঝোপবাড়ি গ্রামের মৃত রিয়াজ শিকদারের ছেলে রিপন (৩৫ )।
বুধবার তাদের টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলামের আদালতের হাজির করা হলে তারা ধর্ষক রাকিব ও সহযোগি সোহানকে মদ সরবরাহের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয় বলে টাঙ্গাইল ডিবি (দক্ষিণ ) পুলিশের এস আই আলমগী কবির ও ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানিয়েছেন। জবানবন্দি ধারন করে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরন করেন।
জানা গেছে, ২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে একই এলাকার আতিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম সিকদার (২৪), রফিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে সোহান আহম্মেদ পাশের বেলতৈল গ্রামের জসিম সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে একটি কক্ষে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে রাকিবুল ধর্ষণ করে।এতে সহযোগিতা করেন সোহান আহম্মেদ, জসিম সিকদার ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম।ধর্ষকের পরিববার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠে।
পরে সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদারসহ চারজনকে আসামী করে মামলা করে। পরে ধর্ষক রাকিব ও তার সহযোগি সোহানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
অপর দুই আসামী জসিম ও তার স্ত্রী বিলকিস পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।