কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত


কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় চারজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে হয়েছে ইয়াবা ও অস্ত্র।
শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এবং সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবি ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা।
টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় ২ দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ সময় ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে আশপাশে পাওয়া যায় ৬ হাজার ইয়াবা, ২ দেশীয় তৈরি বন্দুক ও চারটি গুলি। গুলিবিদ্ধ দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুইজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ার জানে আলমের ছেলে নজির আহমদ (৪০) এবং নয়াপাড়ার মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪০)।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়ায় বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন ইয়াবা চোরাকারবারি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী।
তবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ-জামান বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের পুরাতন মগপাড়া পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান আসার খবরে বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালায়।
এ সময় মিয়ানমারের দিক থেকে আসা সন্দেহজনক কয়েকজন ব্যক্তি বিজিবির সদস্যদের দেখতে পেয়ে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। আশপাশে তল্লাশি করে পাওয়া যায় ১ লাখ ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও একটি গুলি।
পরে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন, বলেন বিজিবির এ অধিনায়ক।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান লে. কর্নেল আছাদুদ-জামান।