জড়িতদের শাস্তির দাবী এলাকাবাসীর
ফাঁসিয়াখালীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে


চকরিয়ার পার্শ্ববর্তী পার্বত্য লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপির ইয়াংছা ও সাঙ্গু মৌজার বিভিন্ন ছড়া-ঝিরি থেকে পাহাড় খননের মাধ্যমে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট অবৈধ পাথর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শিমন জালাই ত্রিপুরা, চংপাট মুরুং ও জমির উদ্দিন গণ মাধ্যমে এ অভিযোগ লিখিতভাবে তুলে ধরে।
এতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপির বাসিন্দা মৃত নুরুল কবিরের পুত্র মহি উদ্দিন মোঃ এনাম, ফরহাদ মোঃ জলিল মনু মেম্বার ও ওমর হামজাসহ বেশ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন তারা।
অভিযোগে জানা, পরিবেশ রক্ষার্থে পাহাড় কাটা, আবহমান স্বাভাবিক গতিতে পরিবর্তন, পাহাড়-ঝিরি ও ছড়া খননের মাধ্যমে অবৈধ পাথর উত্তোলন সহ বারুদ দ্বারা পাথর ব্লাষ্টিং করণের উপর সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পাথর খেকোরা পরিবেশে এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলনের কাজ চলমান রেখেছে।
অত্র উপজেলার সাঙ্গ মৌজার হরিণ ঝিরি, পাইখ ঝিরি, কাপ ঝিরি, কেরানী ঝিরি, শীলের ঝিরি, চিনির ঝিরি, বাঁকখালী খাল ও ইয়াংছা মৌজার বিভিন্ন স্থান সহ একাধিক শ্রমিক দ্বারা পাথর উত্তোলনের অবিরত কাজ চালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, পাথর আহরণে রাস্তা তৈরি করতে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। এছাড়া বড় টি.এস গাড়ী যোগে পাথর পাচারের কারণে এলাকার রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা দৃশ চোখে পড়ার মত। এতে পাহাড়ী পল্লীতে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনের বেলায় সহ স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে নির্দিষ্ট এক স্থানে স্থাপন করে। রাতের আধারে পাথর খেকো সিন্ডিকেটেরা তা গাড়ী যোগে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর এ জান্নাত রুমী বলেন, অবৈধ পাথর উত্তোলনে এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।