টাঙ্গাইল ৭ আসনে ধানের শীষ কার?

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮ | ৫৫৫

টাঙ্গাইল ৭ মির্জাপুর নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষ আসলে কার এই প্রশ্ন এখন সাধারণ জনগণ এবং তৃণমুলের নেতাকর্মীদের মনে ঘোরপাক খাচ্ছে। বিএনপি এই আসনে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক কারাবন্দি নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোহরাবকে।

আবুল কালাম আজাদের অনুসারিরা বলছেন, আবুল কালাম আজাদ তৃণমুল থেকে উঠে আসা সার্বক্ষনিক তৃণমুলের সংস্পর্শে এবং মাঠে অবস্থানকারী জনপ্রিয় নেতা। তিনি দলকে সুসংগঠিত করতে বহু ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের কঠিন দুর্দিনে তিনি সকলের পাশে থেকেছেন। জনসাধারনের ভোটে তিনি দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ তারই প্রাপ্য।

অপরদিকে সাঈদ সোহরাবের অনুসারিরা বলছেন, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করে অনেক চড়াই উৎরাই পার করে সাঈদ সোহরাব বর্তমানে পরিপূর্ণ একজন রাজনীতিবিদ।

তিনি জেল, জুলুম, হুলিয়ার মত কটিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন শুধু দলকে ভালবেসে। দলের দুর্দিনে জীবন বাজি রেখে রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভুমিকা রেখেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মির্জাপুরে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলছেন।

অনেক প্রতিকুলতার সম্মখীন হয়েও তিনি অধের্য হননি। সেজন্য তিনি এলাকায় একজন ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি দলের সর্বোচ্চ পুরস্কার দলীয় মনোনয়ন এখনো পাননি।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল তাকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে। এখবরে নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবিত। তারা বলছেন দলে নতুন মুখ ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। একক আধিপত্য বিস্তারকারী কারাবন্দি নেতা আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে এবার নির্বাচনে সুবিধা জনক অবস্থায় থাকা সম্ভব হবেনা। সেদিক থেকে সাঈদ সোহরাবই ধানের শীষের প্রাপ্য।