খালেদার তিন আসনে ফখরুলসহ বিকল্প প্রার্থী

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ এএম, বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৮ | ৪৫২

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অংশ নেয়ার বিষয়ে সংশয়ে আছে দলটি। তাই দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তার আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন।

মির্জা ফখরুল তার নিজের আসন ঠাকুরগাঁও-১ এর পাশাপাশি খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ (সদর) এর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর বেগম জিয়ার বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিকল্প প্রার্থী হয়েছেন গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিল্টন।

ফেনী-১ (পরশুরাম-ফুলগাজী-ছাগলনাইয়া) আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনুর।

বুধবার (২৮ নভেম্বর) মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। এদিন ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে নিজের আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি মহাসচিব। পরে সৈয়দপুরে এসে খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়নপত্রে সই করেন।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে খালেদা জিয়া এবং মির্জা ফখরুলের মনোনয়নপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ।

এদিকে, হাইকোর্টের এক রায়ে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ আটকে আছে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে আশা করছিল বিএনপি। আর তাই তিনটি আসন থেকে তাকে ধানের শীষের মনোনয়নও দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ড হলে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না- হাইকোর্টের এই আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার সকালে ড্যাব নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

দুদকের আইনজীবী বলছেন, দণ্ডিতদের ক্ষেত্রে এ রায়ের আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, তারা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন, প্রার্থিতার প্রয়োজনে আবারো যাবেন আদালতে।

(মঙ্গলবার) হাই কোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই দণ্ড বাতিল বা স্থগিত হয়।

এর ফলে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতার আপিল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আটকে যায়।