২০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও গার্ক এনজিও কর্মী অাটকের দাবিতে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

খালিদ হাসান, বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮ | ৫৮২

বগুড়ার গোকুলে গার্ক এনজিও'র একমাঠ কর্মী কর্তৃক সদস্যদের নামে ২০/২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও এর ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় গত সোমবার বিকেলে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের ধাওয়াকোলা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেন খানের পুত্র সুজ্জাত আলী টিটিল।

তিনি বলেন, সদরের গোকুল উত্তর পাড়া ছমিল বন্দর সংলগ্ন গার্ক নামে একটি এনজিও থেকে আমি ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সময় ঋণ গ্রহণ করে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসিতেছি। বর্তমানে এনজিওতে কোন ঋণ না থাকার সুবাদে ঐ এনজিও কর্মী সবুজ মিয়া, আমার নামে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে সে নিজে ২ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে ৪/৫ টি কিস্তি জমা দেয়।এমনকি আমার ছেলে রাজিব হাসানের কাছে থেকে চেকের পাতায় ভূয়া স্বাক্ষর দেখিয়া ৪৯ হাজার টাকা সে নিজে গ্রহণ করে।

শুধু তাই নয়, আমার সম্পর্কীয় ফুফাত ভাই মৃত ইরফান আলীর পুত্র ওয়াজেদ আলীর নিকট হইতে ১ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়ার নামে সাদা চেকের পাতা গ্রহণ করে জাল স্বাক্ষর করে। এছাড়াও শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান গ্রামের মৃত জবেদ আলীর পুত্র একলাসকেও ১ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার নামে চেকের পাতা গ্রহণ করে ঋণ দেয়নি।

এভাবে গার্ক এনজিও কর্মী সবুজ মিয়া এলাকা থেকে ২০/২৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সদস্যদের নামে ভূয়া ঋণ দেখিয়ে চম্পট দেয়। গত কয়েক দিন পূর্বে আমার ও ছেলের নামে তার জনৈক এক আত্মীয়কে বাদী করে বগুড়া সদর থানায় ১৮ লক্ষ টাকার একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পুলিশ দ্বারা হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি সহ ভুক্তভোগী নিরিহ সদস্যদের নামে সবুজ যে প্রতারনা করেছে তার কারনে প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানায় যে, তাকে দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এলাকার নিরিহ গরীব অসহায় সদস্যদের তার মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়াজেদ আলী,রাজিব হাসান সহ ভুক্তভুগি অন্যন্য সদস্যরা।