শিউলীর হত্যা পাঁচদিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি


দুস্কৃতিকারীদের কাছ থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে চলন্ত বাস থেকে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগম (২৮) মৃত্যুর পাঁচদিন পরও স্বামী শরিফ খানের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি।ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। বাস এবং অপরাধীদের সনাক্তে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিউলীর পরিবারের লোকজন। ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৭টায় একটি বাস যোগে শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টে যাচ্ছিলেন। বাসে উঠার প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে পৌছার পর যাত্রী বেশী কয়েকজন দুর্বৃত্ত শিউলী বেগমের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীদের কাছ থেকে বাঁচতে শিউলী বেগম চলন্ত বাস থেকে লাফ দিলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান।
এদিকে ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন উল্লেখযোগ্য তৎপরতা না থাকায় পরিবারের লোকজন এবং এলাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং দোাষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবী জানিয়েছেন। মির্জাপুর হাইওয়ে থানার এস আই আব্দুছ সামাদ ঢাকা- টাঙ্গাইর মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানী এলাকার মা সিএনজি পাম্প এবং কোদালিয়া এলাকার নাসির গ্লাস ওয়ার ইন্ডাসট্রিস থেকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সঙগ্রহ করেছেন। এতেও কোন অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মিজানুল হক বলেন মামলা রেকর্ড হয়নি। মযনাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলে তিনি জানান জিডির মাধ্যমে তদন্ত কাজ অব্যাহত থাকবে।