প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ অতপর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল


বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ৮ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে একই এলাকার তরুণ সাজেদুর রহমান কৌশলে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে এবং তা ভিডিও ধারন করে সেই সাথে তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় যেন এই কথা সে কাউকে না বলে মেয়েটি চেপে যায় কাউকে বলেনি।
কিন্তু এক সপ্তাহ পরে সাজেদুরের আরেক সহযোগি আব্দুর রহিম মেয়েটিকে জানায় আগের ধর্ষনের ভিডিও ধারন করা আছে এবার তার পালা সে যদি রাজি না হয় তাহলে গ্রামের সবাইকে দেখানে হবে এই ভিডিও চিত্র এই ভাবে ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে আবারও ধর্ষণ করে রহিম এবং ভয় দেখায় যে বলে দিলে তার বাবা ও ছোট বোনকে মেরে ফেলা হবে।
শনিবার (২৬মে) জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, বগুড়ার আহ্বায়ক এ্যাড: আল মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু, এ্যাড: আশরাফুন নাহার সপ্নাসহ নেটওয়ার্ক নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এই ঘটনার সহিত জড়িত সাজেদুর ও আব্দুর রহিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। সেই সাথে মেয়েটির যথাযথ সহায়তার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংগঠনকে এগিয়ে আসার জোর আহবান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণ-গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুস্কৃতিকারীরা মনে করে তারা আইনের ফাঁক গলিয়ে সহজেই বের হয়ে যেতে পারবে। সংঘটিত সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের স্বাক্ষী পাওয়া যাবে না কিংবা নির্যাতনের শিকার নারী বা তার পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা করবে না বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবে না। আর তাই সারাদেশে একের পর এক বেপরোয়াভাবে নারী নির্যাতনসহ নানা ধরণের ভয়াবহ ও নৃশংসতম অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে