২৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে
ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে


বৃষ্টি আর ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চন্দ্রা থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাতের টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যান চলাচলে ধীর গতি এবং খানাখন্দের কারনে এই অব্যাহত যানজটের সৃষ্ঠি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৃষ্টি আর ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চন্দ্রা থেকে পাকুল্যা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাতের টানা বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যান চলাচলে ধীর গতি এবং খানাখন্দের কারনে এই অব্যাহত যানজটের সৃষ্ঠি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফলে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোবার সকালে মাহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা গেছে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় থেকে মির্জাপুরের পাকুল্যা পর্যন্ত পুরো সড়কই যানজটে স্থবির।
এসব কারণে যাত্রীদের কোন নিরাপত্তা নেই। যানজটের ফলে এ মহাসড়কে বাড়ছে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই। গত কয়েক মাস ধরে চলছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুরবস্থা।
ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। টাঙ্গাইল থেকে রাজধানী ঢাকায় যেতে দেড় ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের সময় গুনতে হচ্ছে ১০-১৫ ঘণ্টা। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশী সময় লাগছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কয়েকজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক অভিযোগ করেন, এ মহাসড়কের যানজটের অন্যতম কারন হচ্ছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চার লেনের কাজের জন্য। ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক শাহাদত হোসেন সেলিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন শনিবার রাতে টানা বৃষ্টি এবং রাস্তার খানাখন্দকের কারনে ভোর রাত থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয এবং ধল্যা ছাড়িয়ে যায়।
রোববার সকাল আটটায় কিছু সময়ের জন্য যানজট ছাড়লেও আবার সকাল দশটায় শুরু হয়। বেলা বারটায় যানজট মুক্ত হয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, যানজটের মুল কারণ এ মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ও অসংখ্য খানা খন্দক ও ভাঙ্গাচোরা ব্রিজ ।
এছাড়া চার লেনের কাজ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং চারলেনের কাজে নিয়োজিত দুইটি কোম্পানির মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে এ রোডে প্রতিনিয়তই যানজট হচ্ছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহসড়ক যানজট মুক্ত রাখার দাবী জানিয়ে এবং বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি একটি প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন অধিদপ্তরে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল আলম বলেন, টানা বৃষ্টি থাকার কারণে ভাঙ্গাচোরা রাস্তাা মেরামত করতে একটু বিলম্ব হয়েছিল।এখন আবহাওয়া ভাল হওয়ায় মেরামতের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।