দলে ভাঙন ঠেকাতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রীর


ক্ষমতাসীন দলে বিভক্তি এড়াতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। রোববার দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে ইশিবা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এরপর থেকেই নিজ দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অবশ্য ক্ষমতায় আসার পর ইশিবার জোট সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। খবর রয়টার্স।
গণমাধ্যমটি বলছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ক্ষমতাসীন দলে ভাঙন এড়াতে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমে রোববার খবর প্রকাশিত হয়েছে। রয়টার্স যোগাযোগ করলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সরকার জানিয়েছে, ইশিবা স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গত অক্টোবরে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে, ইশিবা নির্বাচনী পরাজয়ের ফলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নষ্ট হয়ে গেছে। এ পরাজয়ের ফলে ইশিবার জোটের নীতিগত লক্ষ্য বাস্তবায়ন আরো কঠিন হয়ে পড়ে। ভোটারদের মধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির ক্ষোভ এর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইশিবার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরো বাড়ে যখন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গত সোমবার নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য বিশেষ ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের অর্থনীতিতে নতুন চাপ তৈরি করতে পারে। তবে বাজার বেশি নজর দিচ্ছে ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে তুলনামূলক শিথিল আর্থিক ও মুদ্রানীতি সমর্থনকারী নেতাদের সম্ভাবনার দিকে। বিশেষ করে সানায়ে তাকাইচির নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি ব্যাংক অব জাপানের সুদ বাড়ানোর পদক্ষেপের সমালোচক।