কর ফাঁকির অভিযোগে ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১০৬

যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছিল। গতকাল নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন রেইনার। খবর রয়টার্স।

ব্রিটেনের স্বাধীন তদন্ত কমিশনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেইনার মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। রেইনারের বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ আনা হয়, তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। এ ঘটনাকে কিয়ার স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রেইনারসহ মোট আটজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শুরুতেই স্টারমারের সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন নানা ধরনের অনিয়মে জড়িয়ে পদ ছাড়েন। ১৯৭৯ সালের পর থেকে কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে এত বেশি মন্ত্রী হারাননি। সংখ্যাটি বরিস জনসনের চেয়েও বেশি। গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন তিনি। প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

স্টারমারকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে রেইনার বলেছেন, ‘নতুন বাড়ি কেনার পর কর-সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিইনি। এজন্য আমি অনুতপ্ত। আমি এ ভুলের সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি। তদন্তের ফলাফল ও আমার পরিবারের ওপর প্রভাব বিবেচনায় আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তিনি মন্ত্রী ও লেবার পার্টির উপনেতা পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

রেইনারের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড (৫৪ হাজার ডলার) কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।

স্টারমার বলেন, ‘সরকার থেকে রেইনারের বিদায়ে তিনি খুবই দুঃখিত। রেইনারকে তিনি বর্ণনা করেন বিশ্বস্ত সহকর্মী ও প্রকৃত বন্ধু হিসেবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও আপনি সরকারের অংশ থাকবেন না, আমাদের দলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়েই থাকবেন।’

রেইনারের পদত্যাগের পর কিয়ার স্টারমার তার মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করছেন। কমন্সের নেতা লুসি পাওয়েল সরকার ছাড়ছেন। ইয়ান মারে আর স্কটল্যান্ডের সচিব থাকছেন না।

সাম্প্রতিক জরিপে লেবার পার্টি পপুলিস্ট রিফর্ম ইউকে দলের পেছনে পড়ে গেছে। এর ফলে স্টারমারের নেতৃত্ব ও দলের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে আরো চ্যালেঞ্জ তৈরি হলো। আগে থেকেই সমালোচকরা লেবার পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে দাতাদের কাছ থেকে দামি পোশাক ও কনসার্টের টিকিট নেয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।