শি, পুতিন ও কিমের ঐক্যকে 'যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র' বললেন ট্রাম্প


চীনের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো এক সঙ্গে হাজির হন শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উন। এ দৃশ্যকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে চীনকে উদ্দেশ্য করে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে ট্রাম্প লেখেন, ‘অনুগ্রহ করে ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম জং উনের কাছে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিন, যেহেতু আপনারা মিলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।’
তিনি আরো লেখেন, ‘চীনের স্বাধীনতা অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত ও সহায়তার কথা যেন শি জিনপিং স্মরণ করেন। বহু আমেরিকান প্রাণ দিয়েছেন চীনের বিজয়ের জন্য—তাদের সাহস ও আত্মত্যাগ যেন যথাযথভাবে সম্মানিত হয়।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন তোলে। এই বক্তব্যকে ‘রূপক অর্থে’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্রেমলিন। সেই সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও অস্বীকার করেছে তারা।
অন্যদিকে, এই কুচকাওয়াজে ১০ হাজারের বেশি সেনা সদস্য, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, আন্ডার-সি ড্রোন, লেজার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, এবং নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৬১ প্রদর্শন করা হয়, যা চীনের আধুনিক যুদ্ধ সক্ষমতার অগ্রগতিকে তুলে ধরে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ছিল শি জিনপিংয়ের 'নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার' রূপরেখা।
আর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ভারসাম্যে ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত পেয়েই বিক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া এসেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ও ঐতিহাসিক ভূমিকার পুনরাবৃত্তি। বর্তমান বৈশ্বিক শক্তির পুনর্গঠনের প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা আরো তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।