শিবগ‌ঞ্জে ই‌রি রোপ‌নে ব্যস্ত কৃষক

বগুড়া প্র‌তি‌নি‌ধি
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৪৬৬

শষ্যভান্ডার খ্যাত বগুড়ার শিবগ‌ঞ্জে ই‌রি রোপ‌নে ব্যস্ত সময় পার কর‌ছে কৃষকরা। টানা শৈত প্রবা‌হের কার‌নে এবার ই‌রি রোপ‌নে খা‌নিকটা বিলম্ব হ‌লেও ভা‌লো ফল‌নের স্বপ্ন বুন‌ছেন এ এলাকার কৃষকরা।

তবে তীব্র কুয়াশায় উপ‌জেলার বে‌শির ভাগ এলাকার ই‌রির চারা নষ্ট হ‌য়ে যাওয়ায় বাজার থে‌কে বেশ চড়া দা‌মে চারা কিন‌তে হ‌চ্ছে কৃষক‌দের।কৃ‌ষি অ‌ফিসের তথ্য ম‌তে এবার উপ‌জেলায় ৩৬ হাজার একর জ‌মি‌তে চাষ হ‌চ্ছে ই‌রি বো‌রো ধান।অাবহাওয়া অনুকু‌লে থাক‌লে ভা‌লো ফল‌নের অাশা কর‌ছে কৃষকরা।

উপ‌জেলার মোকামতলা এলাকার ধান চা‌ষি শামছুল অালম না‌জিমউ‌দ্দিন জানান,''এবার ই‌রি ধান রোপন কর‌তে দে‌রি হ‌য়ে গে‌ছে।অাবহাওয়া খারাপ ছি‌লো তাই এ অবস্থা।রায়নগর ইউ‌নিয়‌নের টেপাগা‌ড়ি গ্রামের ধান চা‌ষি অাব্দুল ওয়া‌হেদ জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন বলে সব প্রস্তুতিই প্রায় সম্পন্ন করেছেন।

এরই মধ্যে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ধানের চারা বাবদ ৫শ টাকা, জমি চাষ করা বাবদ ৮শ টাকা, দিনমজুর বাবদ ১ হাজার টাকা, সার কেনা বাবদ ১ হাজার ৩শ টাকা।

এছাড়া ৩ মাস পানি সেচ বাবদ ২ হাজার টাকা,  নিড়ানী ও কিটনাশকসহ নানা ওষুধ বাবদ আরও প্রায় ১ হাজার টাকাসহ ধান কাটা-মাড়াইসহ আরও প্রয়োজন ২ হাজার টাকা। এ নিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে চাষাবাদ বাবদ  সর্বমোট খরচ হবে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা।

ফলন ভালো হওয়াসহ দাম ভালো পাওয়া গেলে এই খরচ আর পরিশ্রম দুই সার্থক হবে।কৃ‌ষি অ‌ফিস জা‌নি‌য়ে‌ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।

খা‌লিদ হাসান/পিএইচ