মধুপুরে পৌর কর্মচারীর বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩৬২
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার ট্যাক্স আদায় শাখায় কর্মরত মোজাম্মেল হক লিচু (৫৫) নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে স্কুল পড়ুয়া সনাতনী দর্জি পরিবারের একটি শিশুকে(১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 
 
ঘটনার পরপরই স্থানীয় এক শ্রেণির মাতাব্বর প্রভাব খাটিয়ে শালিসের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামা চাপার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ আছে। এতে গত দুইদিন যাবৎ মধুপুরে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
 
শনিবার বেলা ১১ টার দিকে পৌর শহরের মাস্টার পাড়ার উত্তর এলাকার অভিযুক্তের ভাড়া দেয়া বাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে । 
 
জানা যায়, ধর্ষিত শিশুর দরিদ্র দর্জি পরিবার  অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক লিচুর বাসায় ভাড়া থাকতো। পৌরসভার মাস্টার পাড়ার উত্তর এলাকার ওই বাসায় গিয়ে শিশুটিকে একা পেয়ে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন।  একই রাতে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই পৌর শহরের একটি মার্কেটে শালিসী বৈঠকে ধামা চাপা দিতে উদ্যোগ গৃহিত হয়। সেখানে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও মুচলেকায় শালিসী বৈঠক শেষ হলেও ভিকটিম পরিবার তিন লাখ টাকা পায়। বাকিটা মাতাব্বরগণ ফি বাবদ রেখেছেন ।
 
স্থানীয়রা জানান, মধুপুর পৌরসভার আদায় শাখার মোজাম্মেল হক লিচুর মামা শশুর আদম ব্যবসায়ী মান্নানের কাছ থেকে বাসাটি কিনে নিয়েছেন। 
 
দুই ইউনিটের ওই বাসার একটি ইউনিট খালি। অপরটিতে সনাতনী একটি দরিদ্র দর্জি পরিবার ভাড়া থাকে। ওই পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি একাই বাসায় ছিল। বাসার খোঁজ নিতে গিয়ে লিচু একা পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন।
 
স্থানীয় মাতবর মোতালেব খন্দকার জানান,মেয়েটিকে মারধর করেছে যার কারনে সালিশ হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণ হয়েছে কি না সেটি জানি না।
 
অভিযুক্ত মোজাম্মেল লিচুকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ৩ মাসের বাসা বাড়া বাকি । এ টাকা চাইতে গেলে এমন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মানহানীর এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এছাড়াও শিশুটিকে আমি একটা চর মারছিলাম যার কারনে এই অভিযোগ দেয়।
 
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো, এমরানুল কবির জানান, ঘটনার দিন শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে থানায় বসে  মেয়েটির বাবা থানায় একটি ধর্ষণ  মামলা দায়ের করেছে।আমরা অভিযুক্ত আসামীকে দূত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
 
এবিষয় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,জুবায়ের হোসেন জানান, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আমার নিকট কেউ অভিযোগ দিলে সেটি গুরুতর সাথে দেখভাল করবো।