বিড়ির কর ও মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন


গত ১৪ মার্চ ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর সাজানো “টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকবৃন্দ” নামক সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বিড়ির কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানানোর প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
সোমবার (২০ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও বিড়ি শ্রমিকরা চার দফা দাবী নিয়ে এই প্রতিবাদ মানববন্ধন পালন করে।
দাবীগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। অবৈধ সংগঠনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করতে হবে এবং নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি লুৎফর রহমান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের প্রান্তিক শ্রমিকদের বড় একটি অংশ বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বন্যা কবলিত জনগন, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্প। প্রাচীন শ্রমঘন এই শিল্প থেকে বছরে বিপুল পরিমান রাজস্ব আহরিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থানের স্বার্থে বিড়িতে শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেন। তবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে বিড়ি শিল্পে বারবার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ১৪ মার্চ ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর সাজানো “টাঙ্গাইল জেলা বিড়ি শ্রমিকবৃন্দ” নামক সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত মানবন্ধননে বিড়ির কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানায়। যা সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকদের অন্নসংস্থান বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেশীয় শিল্প ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নিয়ে আসছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর অজ্ঞাবহ কিছু সংগঠন। বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে বিড়ি শ্রমিকরা তাদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত। আমরা চাই ওই সকল অবৈধ সংগঠনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এ করের চাপে অনেক বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিড়ি শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।