বালি উত্তোলনের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর চিঠি


টাঙ্গাইলের ফটিকজানী নদীর কালিহাতী পৌরসভার সালেংকা অংশে দুইটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করার ফলে বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সালেংকা গ্রামের মৃত মোকাদ্দেছ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন জেলা প্রশাসকের কাছে গতকাল বুধবার ( ২২ ফেব্রুয়ারী ) একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, কালিহাতী পৌরসভার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে মো. লিটন মিয়া ঝিনাই(ফটিকজানী) নদীর সালেংকা অংশে দুইটি বাংলা ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। ওই বালু-মাটি উত্তেলন ও বিক্রি করতে তিনি স্থানীয় পর্যায়ের কতিপয় বখাটে লোকজন নিয়ে গ্রুপ তৈরি করেছেন। স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করলে ওই বখাটেদের দিয়ে তাকে ভয় দেখানো হয়। অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের ফলে বর্ষা মৌসুমে উত্তর সালেংকা গ্রামের ২৫-২৬টি বাড়ি-ঘর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার দুই-তিন ফসলি জমি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আক্তার হোসেন জানান, কালিহাতী পৌরসভার মেয়রের দাপট দেখিয়ে মো. লিটন মিয়া স্থানীয় কয়েকজন বখাটের সহযোগিতায় অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু-মাটি উত্তোলন করছে। এতে ফটিকজানী নদীর ডান তীরে জেগে ওঠা অন্যের জমি(চর) এখনই ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন।
অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া জানান, নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে তিনি পাশের ঈদগাঁ মাঠ ভরাট করছেন। ঈদগাঁ মাঠ ও গোরস্থান ভরাট করে দেওয়া পৌর মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। বালু-মাটি উত্তোলন করে তিনি বিক্রি করছেন না।
কালিহাতী পৌরসভার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনারের(ভূমি) কার্যালয়ের সহযোগিতায় ফটিকজানী নদীতে অভিযান চালিয়ে ইতোপূর্বে বাংলা ড্রেজার ধ্বংস করা হয়েছে। আবার কে বা কারা ড্রেজার বসালে খবর পেয়ে তারা বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অভিযান চালিয়ে ভেঙে দিয়েছেন।
কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাহিদ হোসেন জানান, তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন। ফটিকজানী নদীতে এরআগে অভিযান চালিয়ে বাংলা ড্রেজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবার যদি কেউ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে থাকে খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।