বেনাপোলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, সোমবার, ২৯ আগস্ট ২০২২ | ৩৪৬

বেনাপোল সীমান্তে  পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এসময় প্রভাব বিস্তারে ককটেল বিষ্ফোরন ও ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা।

আহতরা শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,যশোর সদর ও  খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে।

রোববার ( ২৮ আগষ্ট) রাতে বেনাপোল বন্দর থানার কাগমারি ও আমড়াখালী  গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন,বেনাপোলের কাগমারি গ্রামের আজিজের ছেলে শাহআলম (৫৫) ও আলম (৫৭) দেলোয়ারের ছেলে শুভ (৩৫) বারেকের ছেলে খোরশেদ,(৩৯)নুরুর ছেলে শুকুর আলী (৪০) সিরাজুলের স্ত্রী মুন্নি (৩২) ও আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক (৩২)। আহতদের মধ্যে আলম ও শুকুর আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে হামলাকারীরা  হলেন, ইমান আলীর ছেলে একাধিক মাদক  মামলার আসামী বাবু, শরবত আলীর ছেলে আমির, আলীর ছেলে শিমুল,বজলুর ছেলে আরমান, ওলিয়ারের ছেলে সাদেক,শরিফের ছেলে সুজন ও হাশেম আলীর ছেলে  রওশন আলী।

এলাকাবাসী জানান, গ্রামে  শালিস বিচার নিয়ে  কয়েক মাস ধরে দু পরে রেষারেষি চলে আসছিল।  দু'পরে মধ্যে ইতোমধ্যে ২ টি মামলা এবং একাধিক অভিযোগ বেনাপোল পোর্ট থানায় দায়ের রয়েছে।একাধিকবার বিচার শালিশ করবার পরও কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি। হঠাৎ করে রোববার রাত ১০ টার দিকে  বাবু গ্রুপের সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী  লাঠি, দা ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আলম গ্রুপের লোকদের উপর আক্রমণ করে। এতে আলম গ্রুপের ৭ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে নিয়োজিত বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই সোহেল বলেন, মসজিদের নামাজ পড়ার জের ধরে আমড়খালী গ্রামের বাবু আকস্মিক ভাবে তার দলবল নিয়ে হামলা করে শাহ-আলম গ্রুপের লোকদের। যারা ঠেকাতে এসেছিল তারাও কেউ কেউ আহত হয়েছে ।

বেনাপোল বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনাকাঙ্কিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে।