করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা সংক্রমণের কারণে উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করলেও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে আরও অনেক দূর যেতে হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
রোববার (২৮ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা দেশের জন্য সম্মানের।
মাত্রই শেষ হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালা। এ আয়োজনের রেশ না কাটতেই রোববার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এ মাহেন্দ্রক্ষণে বিশ্ব নেতাদের উষ্ণ বার্তাই প্রমাণ করে বাংলাদেশ সফল। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে আরও অনেক দূর যেতে হবে বলে জানান সরকার প্রধান।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিব। আর সেটা দেয়ার মতো দক্ষতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। আজ সেই অর্জন করেছে বলেই আজ পৃথিবীর কোনো অঞ্চল বাদ নেই বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোতে। এটাই হচ্ছে সার্থকতা। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
করোনার প্রভাবে উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও, এখন থেকে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যাতে খাদ্য সংকট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না।
করোনা ভাইরাসে মানুশের যেন কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রাদুর্ভাব কতদূর যাবে আমরা তা এখনও জানি না। তার জন্য প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে। দারিদ্র্যের হার আমরা কমিয়েছি ২০ দশমিক ৫ ভাগে। হয়তো করোনার কারণে কিছুটা বাড়তে পারে। সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলবো।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন সরকার প্রধান।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে উন্নয়নের চলমান ধারায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে নেতাকর্মীদের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।