দেশে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫২০


দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪৪০-এ। এসময় নতুন করে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২০ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন লাখ ৭৩ হাজার ১৫১-তে।
আজ বুধবার (৭ অক্টোম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশের ১০৯টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৮৮টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৮টি নমুনা।
একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো এক হাজার ৭৯৮ জন রোগী। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জন হয়েছে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী ১০ জন। এ পর্যন্ত মৃত ৫ হাজার ৪৪০ জনের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২০০ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৭ দশমিক ২১ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ১২৪০ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিভাজনে বলা হয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে; যাদের একজনের বয়স দশের নিচে, আরেকজনের ২০ এর নিচে। এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আটজন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ২২ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকাতেই, ১৯ জন। এছাড়াও চট্টগ্রামে ছয়জন, খুলনায় তিনজন, রাজশাহী ও বরিশালে দুজন করে এবং সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং একজন বাড়িতে থেকেই মারা গেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।