দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ালো
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৪৩ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে ৩ হাজার ৮০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৭ হাজার ৩৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৫৯টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টিতে।
দেশে নতুন করে আরো এক হাজার ৯৭৫ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। হাসপাতাল এবং বাড়িতে থেকে এসব রোগী সুস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এছাড়াও গত ২৪ শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ৩১ পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে, যার বয়স দশের নিচে। এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের পাঁচজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার রয়েছেন দুজন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, খুলনা দুজন, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং রংপুর বিভাগে একজন করে রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন এবং বাসায় থেকে মারা গেছেন ১৪ জন।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভয়াবহ ছোঁয়াচে এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে খুব দ্রুত।
