মির্জাপুরে আমের মুকুল মৈা মৈা গন্ধ


‘আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা, ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি ।
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রুপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ সকলে মনকে বিমোহিত করে।
সরোজমিনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম যেন আমের রাজ্যে পরিণিত হতে চলেছে, যেদিকে তাকাই গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরা আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। রঙ্গিন বনফুলে সমারোহ প্রকৃতি যেমন সেজেছে মির্জাপুর উপজেলার প্রতিটি আম বাগান ও আমের গাছে। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে মির্জাপুর উপজেলাগুলো সর্বত্র জানান, শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ গাছেই।
আমচাষিরা বাগানে পরিচর্যা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। গাছে মুকুল বা গুটি বাধাঁর সময় কোন সমস্যা না হয় এ জন্য বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সুফলও পেয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মশিউর রহমান । বিগত বছরের তুলনায় এবার উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় একমাস আগমুহূর্ত থেকেই আমের গাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। চাষীরা আশা করছেন, এবার আম এবং লিচুর ফলন ভালো হবে এবং তারা অধিক পরিমাণে লাভবান হবেন।