ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে
নদীতে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ঘাস ও মাটি!


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শুরু হওয়া যমুনা নদীতে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ঘাস ও মাটি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নদী ভাঙনকবলিত মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে এর প্রমানও পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, যমুনার পূর্ব পাড়ে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি ও ভালকুটিয়া গ্রামের এক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহ ধরে। ভাঙনে ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এতে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন’শ বছরের কালীমন্দির, মসজিদ ও আধা-পাঁকা ঘরবাড়িসহ শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে রয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ড এক কিলোমিটার ভাঙন এলাকার মধ্যে মাত্র ৭৫ মিটার এলাকায় ভাঙনরোধে ৫০ লাখ টাকার প্রকল্পের অধীনে জিওব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীতে জিওব্যাগ ফেলছে। ভাঙন কবলিত মানুষদের অভিযোগ, যমুনা নদীতে জিওব্যাগ ফেলানো হচ্ছে তা নিম্নমানের। জিওব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তি করা জিওব্যাগে ঘাসও দেখা গেছে। যেখানে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে তার অদূরে জেগে উঠা চর থেকে মাটি কেটে জিওব্যাগ ভর্তি করা হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আল আমিন জানান, কিছু কিছু নৌকায় জিওব্যাগে ভিট মাটি পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তন করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুল লতিফ জানান, জিওব্যাগে মাটি ও কিছু ব্যাগে ঘাস পাওয়া গেছে। সেগুলো পরিবর্তনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মফিদুল ইসলাম মজনু জানান, সঠিক জিওব্যাগে বালু ভর্তি করে ভাঙন এলাকায় ফেলানো হচ্ছে। কিছু কিছু নৌকায় জিওব্যাগে একটু সমস্যা আছে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কাজের সিডিউলে কি বালু দিয়ে জিওব্যাগ ভর্তি করা হবে সেটা লেখা নেই।